হিন্দু আইনে মায়ের সম্পত্তি কে পাবে - Hindu aine mayer sampatti ke pabe

হিন্দু আইনে মায়ের সম্পত্তি কে পাবে

আজকে আমি যে সম্পর্কে বিশেষ করে হিন্দু মেয়েরা পিতা-মাতা মারা যাওয়ার পরে সম্পদের মালিক হয় কিনা এবং যে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেয়ে সন্তান থাকে সেক্ষেত্রে এই মেয়েরাই পিতা-মাতার সম্পদের মালিক হয় কিনা নাকি তার ভাইয়েরা অর্থাৎ মৃত ব্যক্তি ভায়েরা বা ভাতিজারা সম্পদের মালিক হয় এ বিষয়গুলো আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।


এবং যে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেয়ে সন্তান থাকে সেক্ষেত্রে এই মেয়েরাই পিতা-মাতার সম্পদের মালিক হয় কিনা নাকি তার ভাইয়েরা অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির ভাইরা বা ভাতিজারা সম্পদের মালিক হয় এ বিষয়গুলো আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব বাংলাদেশ শুধুমাত্র বাংলাদেশ না বাংলাদেশের বাইরে যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা তাদের মধ্যে দায়ভার নিয়মানুযায়ী এখন পর্যন্ত সম্পত্তি বন্টন করা হয়ে থাকে তো এই দায়ভাগ নিয়ম অনুযায়ী হিন্দুদের সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে একটা সিরিয়াল মেনটেন করা হয়ে থাকে এই সিরিয়ালটা এক থেকে 53 নাম্বার পর্যন্ত হয়ে থাকে এটা বিশাল বড় একটা সিরিয়াল তো এই এক থেকে চার নাম্বার এই চারজন মাত্র সিরিয়ালে এক সাথে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে

হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তি ২০২৩

 যেমন এক নাম্বারে আছে পুত্র দুই নাম্বার আছে পুত্র পুত্র তিন নাম্বারে আছে তার পুত্র এবং চার নাম্বার আছে একসাথে থাকে এবং এদের মধ্যে সে ক্ষেত্রে যারা যারা আছে তাদের মধ্যেই এই সম্পত্তি গুলা সমান অংশে বন্টন করা হয়ে থাকবে তো এভাবেই সম্পত্তি গুলো ভাগ করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে যদি সকলেই থাকে তাহলে সকলেই সম্পত্তির ভাগ সমানভাবে হবে এবং যদি শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি থাকে সেক্ষেত্রে এই চারজনের মধ্যে একজন ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকবে কোন ক্ষেত্রে দেখা গেল যে মৃত ব্যক্তি মৃত্যু কালে তার মৃত্যুর ছেলের স্ত্রী রেখে গেছে এবং নিজের স্ত্রী রেখে গেছে তো সে ক্ষেত্রে এই দুইটা ভাগ হবে একটা মৃত ছেলের স্ত্রী পাবে একভাগ এবং অন্য ভাগটাই মৃত ব্যক্তির যে স্ত্রী সে পাবে মৃত্যু সন্তানের স্ত্রী রাও এই তার হাজবেন্ডের সম্পত্তির রিপ্রেজেন্টেটিভ হবে বিষয়টা এরকম হয়ে থাকে তো এই এক থেকে চার পর্যন্ত যে এই এক থেকে চার পর্যন্ত ব্যক্তিরা সমানভাবে সম্পত্তির একসাথে মালিক হয়ে থাকে সমানভাবে সম্পত্তির একসাথে মালিক হয়ে থাকে তো এই চার পর্যন্ত যাওয়ার পরে ৫ নম্বরে আছে কন্যা তো এই এক থেকে চার পর্যন্ত এই চার জনের মধ্যে যদি কেউ না থাকে সবগুলো যদি অনুপস্থিত থাকে কিংবা জেগে থাকে সেক্ষেত্রে পাঁচ নাম্বারে আছে শুধুমাত্র কন্যারা সম্পত্তির মালিক হয় কন্যাদের মধ্যে একটা ব্যাপার স্যাপার আছে কন্যা মৃত ব্যক্তির কন্যা কয়জন আছে যদি একাধিক্য না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে অবিবাহিত মেয়ে অর্থাৎ কুমারী কন্যা কয়জন আছে যদি দেখা গেল মৃত ব্যক্তির তিনজন কন্যা আছে এক কন্যা অবিবাহিত এবং বাকি দুইজন বিবাহিত সে ক্ষেত্রে যে অবিবাহিত কন্যা আছে সেটি সেই মেয়েটাই সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে বাকি দুজন যে বিবাহিত মেয়ে আছে এখন দেখা গেল যে অবিবাহিত কন্যা দুইজন আছে এবং বিবাহিত কন্যা

হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তি বন্টন বাংলাদেশ

 একজন আছে সেক্ষেত্রে ওই অবিবাহিত দুজন মেয়ের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে সমস্ত সম্পত্তি তো এভাবে আসলে এই বন্টন টা হবে তো যদি দেখা যায় যে বিবাহিত সকল মেয়েরাই বিবাহিত সেই ক্ষেত্রে আর কোন কুমারী কন্যা নেই সেই ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে কারা পুত্র সন্তান আছে সেটা দেখতে হবে যাদের যাদের শুধুমাত্র পুত্র সন্তান আছে তাদেরকেই এই সম্পত্তিগুলো সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে সন্তান নাই সেই সম্পত্তি পাবে না এখন যদি কারো সন্তান না থাকে সে ক্ষেত্রে সমস্ত কন্যাদের মধ্যে সমানভাবে দেওয়া যাবে মেয়েদের হিসাব মেয়েদের সম্পাদ আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে মেয়েদের সম্পাদক চেয়ে একটা জীবন সত্য সম্পর্কে আরেকটা হচ্ছে স্ত্রীর ধন সম্পদটা মালিক হয় যেটা কেউ যদি তাদেরকে দান করে দেয় কিংবা তারা যদি কারো কাছ থেকে সম্পদ গুলো কেনে সে ক্ষেত্রে মেয়েরা বিক্রি করতে পারে দান করতে পারে কিংবা নিজেরা ভোগ করতে পারে যা খুশি তাই করতে পারে আরজে জীবন সত্য যে সম্পদটা আছে এই সম্পদটা মেয়েরা শুধুমাত্র ভোগ করতে পারে এটা বিক্রি করতে পারে না এই জীবন সত্য সম্পদ গুলো মেয়েরা মালিক হয় দুইভাবে মালিক হয় 

হিন্দু আইন

যেমন একটা বললাম যে পিতা মাতার ওয়ারিশ হিসেবে যে সম্পদটা পায় এটা হচ্ছে জীবনশক্তির সম্পত্তি এই সম্পত্তিটা মেয়েরা বিক্রি করতে পারে না ভোগ করতে পারে আর একটা আরেক ভাবে জীবন মালিক হয় যদি প্রথম চারজনের মধ্যে বিধবার কথা বলছিলাম তো স্বামী যদি মারা যায় তাহলে যে বিধবা স্ত্রীদের সম্পত্তি পায় পায় তো এই সম্পদটা বিস্তৃত হয় জীবন সত্য তো এটাও তারা শুধু ভোগ করতে পারে কিন্তু এটা বিক্রি করতে পারে না তো এই মেয়েরা যে ৫ নাম্বারে আছে এই পাঁচ নাম্বার এই এক থেকে পাঁচ নাম্বার পর্যন্ত যদি কেউই না থাকে সম্পূর্ণ উপস্থিত সকল সম্পত্তির মালিক সে ক্ষেত্রে ৬ নাম্বারে যে আছে সেই তখন সেই সম্পত্তির সকল সম্পত্তির মালিক কে আছে যেমন হচ্ছে মৃত ব্যক্তির কোন নাটকের মধ্যে একটা ব্যাপার আছে যেমন হচ্ছে একাধিক কন্যার একাধিক পুত্র সন্তান থাকতে পারে তোর যতগুলো পুত্র সন্তান আছে তত গুলোই ভাগ করতে হবে দেখা গেল যে আমি তো ব্যক্তির দুইজন দুইটা মেয়ে রেখে গেছিল এই দুই মেয়ের ছেলের সংখ্যা হচ্ছে এক মেয়ের আছে একটা ছেলে অন্য মেয়ের আছে তিনটা ছেলে মোট হচ্ছে

হিন্দু আইনে ছেলে না থাকলে সম্পত্তি যেভাবে বন্টন হবে

চারটা ছেলে তাহলে হচ্ছে এ সমস্ত সম্পত্তি চারটা ভাগ করতে হবে ভাগ করে চারটা ছেলের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দিতে হবে এখানে মেয়ে তো মারা গেছে এই কারণে তো মেয়ের ছেলেদের মধ্যে আসছে এই সম্পদের ভাগের বিষয়টা তো যতগুলো ছেলে ততগুলো ভাগ তো এই বিষয়টা হচ্ছে এভাবে হয় তো ছয় নাম্বার যদি এই ৬ নাম্বারে যারা মৃত ব্যক্তির কন্যার পুত্র এরাও যদি কেউ না থাকে তাহলে হচ্ছে ৭ নাম্বারে যাবে মৃত ব্যক্তির পিতা তো এই এক থেকে ছয় নম্বর পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই মৃত ব্যক্তির পিতা এই সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে তো এখন যদি পিতা ও না থাকে তাহলে আট নম্বরে আছে মৃত ব্যক্তির মাতা তো সেক্ষেত্রে মাথায় সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে এখন আট নম্বরে যে মাথা ও যদি না থাকে তাহলে হচ্ছে নয় নাম্বারে যাবে নয় নাম্বারে কে আছে মৃত ব্যক্তির ভাই মৃত ব্যক্তির ভাই সহোদর ভাই সহ দরবারে না থাকে

হিন্দু আইনে নারীর সম্পত্তি

হিন্দুছাড়া সম্পর্কে বিশেষ করে হিন্দু মেয়েরা পিতা-মাতা মারা যাওয়ার পরে সম্পদের মালিক হয় কিনা এবং যে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেয়ে সন্তান থাকে সেক্ষেত্রে এই মেয়েরাই পিতা-মাতার সম্পদের মালিক হয় কিনা নাকি তার ভাইয়েরা অর্থাৎ মৃত ব্যক্তি ভায়েরা বা ভাতিজারা সম্পদের মালিক হয় এ বিষয়গুলো আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব

হিন্দু আইনে দ্বিতীয় বিবাহের শাস্তি
হিন্দু আইনে বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার বাংলাদেশ
কে জানতে হবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছেলেরাও বঞ্চিত হয় সম্পত্তিকে তো কখন কখন হয় এটা হচ্ছে কয়েকটা ক্ষেত্রে হয়ে থাকে যেমন যদি কোন ছেলে ধর্মান্তরিত হয় অর্থাৎ অন্য ধর্মে যদি চলে যায় সে ক্ষেত্রে সে সম্পর্কে বঞ্চিত হয় আবার যদি কোন ছেলে সন্ন্যাসী হয় সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয় কোন ছেলে যদি খুনি হয় সে ক্ষেত্রেও সে সম্পর্কে বঞ্চিত হয় তো ছেলেরা বঞ্চিত হয় সেক্ষেত্রে তারা নাই এই ভাবেই আমাদেরকে হিসাব করতে হবে দেখা গেল যে একজন লোক শুধুমাত্র একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে দেখে মারা গেছে এবং ছেলেটা সে সন্ন্যাসী হয়ে গেছে কিম্বা সে অন্য ধর্মের চলে গেছে সেক্ষেত্রে ছেলে আর তার অংশ এখানে ইনজেস্ট হবে না সেখানে ধরে নিতে হবে শুধুমাত্র সম্পদের মালিক হবে তো এখান থেকে আমরা দেখতে পারলাম যে পাঁচ নাম্বার আছে মেয়ে আর নয় নাম্বারে আছে ভাই এবং ১০ নাম্বারে আছে ভাইয়ের ছেলে ২০১৭ সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি শুধুমাত্র মেয়ে রেখে মারা যায় সে ক্ষেত্রে এই মেয়েরা এই সম্পদের মালিক হবে ভাইয়েরা হবে না কারণ ভাইয়েরা আছেন 9 নাম্বার এবং ভাতিজা আছে ১০ নাম্বারে তো আমি যেটা প্রথমে বলেছি আপনাদেরকে যে মেয়েরা কি সম্পদের মালিকানা নাকি হ্যাঁ সম্পদের মালিক হয় সে ক্ষেত্রে এক থেকে চার নম্বর পর্যন্ত যারা যারা আছে উপস্থিত থাকে শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই মেয়েরা সম্পদের মালিক হয় তো দায়ভাগ নিয়ম অনুযায়ী এইভাবে এই সম্পদ গুলো হিন্দুদের হিন্দু ভাইদের মধ্যে বন্টন করা হয়ে থাকে তো এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কোন কিছু জানার থাকে বা কোন জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে আপনি আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url