সারা শরীর ব্যথা করে কেন - Sara sarira byatha kare keno
সারা শরীর ব্যথা করে কেন
শরীরের বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়েই পেইন বা ব্যথা অনুভব করতে থাকেন এবং এই ব্যাথাটা নির্দিষ্ট কোন অঞ্চল জুড়ে তীব্রতা তারতম্য হয়। যেমন ঘাড় ঘাড়ের পিছন দিকটা কাঁধের নিচের দিক গুলো দেখা যায় যে সব সময় ব্যথা কোনভাবে ব্যাথা কমছে না, চাবানো কামড়ানো জ্বালাপোড়া টাইফের ব্যথা ব্যথা কমছে না। শুধুমাত্র ঘাড় বা ঘাড়ের চারদিকে ব্যাটা শুধু এটাই নয়, নির্দিষ্ট কিছু স্থান রয়েছে যেমন হাঁটুতে ব্যথা কোমরে ব্যথা। যেই জায়গায় গুলোর ব্যাথা সকালে বেলা উঠার সময় বেশি বেশি থাকে, শুধুমাত্র ব্যথায় নয় ব্যথার সাথে আরো কিছু উপসর্গ থাকে।
যেমনঃ ভিষণ ক্লান্তি লাগা, সারা দিন অকারন ক্লান্তি লাগছে, অকারনে বিরক্তি চলে আশা, অকারণে রাগ হয়ে যাওয়া মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মন মরা হযে বসে থাকা, হতাশা হযে বসে থাকা নিজের ওপর থেকে আত্মবিশ্বাস উঠে যাওয়া, অস্থির লাগা পরান ছটপট করা কোন কিছুতেই মন না লাগা মাথার ব্যথা। মানসিক চাপ বা টেনশনের কারণে ও হযে থাকে।
ফাইব্রোমায়ালজিয়া কি
আপনার কি সারা শরীরে ব্যথা ইদানিং কি ক্লান্তি অনুভব করছেন আপনার ফাইব্রোমায়ালজিয়া নেই তো ফাইব্রোমায়ালজিয়া কি কারন কাদের হতে পারে কি করে বুঝবো যে এটা ফাইব্রোমায়ালজিয়া আরে ট্রিটমেন্ট কি।
কি জিনিস যেখানে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে মূলত এর কোন কারণ নেই যদি আমরা বিভিন্ন টেস্ট করি বিভিন্ন নার্ভের টেস্ট করি সব টেস্টি নর্মাল আসবে তাহলে সমস্যাটা কোথায় খুব বেশি সেনসিটিভ অল্প ব্যথাকে অনেক বেশি ব্যথা মনে হতে পারে সবার ব্যথার তীব্রতা সমান নয় ধরুন কোন বাচ্চা এমন হতে পারে অল্প খানিকক্ষণ কেঁদে চুপ করে গেল এমন হতে পারে বেশ অনেকক্ষণ কাঁদছে সেই ব্যাথাটা জন্য কারো শরীরে নার্ভ অল্প ব্যথা তৈরি করে আবার মহিলাদের এই রোগ এবং 40 থেকে 60 এর ঘরের লোকজনদের এই রোগটা বেশি দেখা যায় কি করে বুঝবো যে এটা তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়েছে কিনা যেমন ধরুন তারপরে হাতের এইরকম এরিয়াতে তারপরে হাতের নিচের এরিয়াতে পিঠে পিঠে চালে কোমরে এমনকি হিপের দুই সাইডে বুকে পেটে এমনকি থাই এবং কাপ মাছের চেয়েও ব্যাথা হতে পারে এরকম যেমন খুব ক্লান্তি ভাব লাগা সকালে উঠে খুব আন্ড ফ্রেশ লাগা ছোটখাটো জিনিসপত্র রেখে ভুলে যাচ্ছেন এরকম বিভিন্ন সাইনাল সিমটম হতে পারে এছাড়াও মাংসপেশিতে ব্যথা বিভিন্ন ছোট ছোট সাইন্স সিমটম থাকতে পারে এছাড়াও এর বড় একটা পার্ট হলো এই ব্যথার কারণে এইসব বিভিন্ন ছোট ছোট সাইন্স সিমটম দিয়ে আমরা ডায়াগনোসিস করতে পারি।
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
যে এটা ফাইব্রোমায়ালজিয়া কিনা তো চলে আসে ট্রিটমেন্ট ট্রিটমেন্ট কি কি হতে পারে কিভাবে করতে পারেন যেমন হাঁটাচলা করা ডান্সিং এরকম বিভিন্ন এক্সারসাইজ করতে পারেন যাতে আপনার হোল বডি মুভমেন্ট হয় সিস্টেমিক ডিসেনসিটাইজেশন বা কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি এরকম বিভিন্ন পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে কিন্তু এই সবকিছু করার পরও যদি ব্যাথা না কমে তখন কি করা যেতে পারে এতে আপনার সারা শরীরে ব্যথা ধীরে ধীরে কমবে এছাড়াও আমরা কি করতে পারি আপনি নিকটবর্তী কোন পেন ফিজিশিয়ান এর কাছে যান এবং আপনার ফাইব্রোমায়ালজিয়া আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করুন ।
ইনফেকশন
আমাদের শরীরে ইনফেকশন বা সংক্রমণ ঘটে অনুজীবের মাধ্যমে এরা শরীরে বাসস্থান করে এবং ক্ষতিকরে অণুজীব আমাদের শরীরকে নিজের আস্তানা বানিয়ে নেয় এবং বংশবিস্তার করতে থাকে তারা খুব কম সময়ে নিজের বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এই সংক্রমণ জীবগুলো হলো ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস ছত্রাক ইত্যাদি।
ইনফেকশন যেভাবে হয়ঃ সংক্রমিত কোন ব্যক্তি থুতু কাশি ইত্যাদি সংস্পর্শে এলে অথবা দূষিত পরিবেশে থাকলে দূষিত খাবার খেলে দূষিত বাতাসের শ্বাস নিলে ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়া শরীরে আক্রমণ করলে সারা শরীরে ব্যথা সারা শরীরে বিভিন্ন স্থানে লাল লাল হয়ে থাকে এর মূল কারন হলো ইনফেকশন। ছত্রাক সংক্রমণ থেকে রক্ষা, সাবান অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন, পচনশীল খাবার এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন অথবা টিকা গ্রহন করুন, প্রয়োজন বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না।
দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি
ক্রনিক ফ্যাটিক সিনড্রোম হলে আপনি ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে যাবেন। বেশি বিশ্রাম বা ঘুমিয়েও ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করা যায় না। এ রোগ শরীরকে অবসাদগ্রস্ত রাখে বলে পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
মনোনিউক্লিওসিস
মনোনিউক্লিওসিস মনো নামে বেশ পরিচিত। মুখের লালার মাধ্যমে এটি ছড়ায়। তাই একে চুম্বন রোগও বলে। এটি একপ্রকার ইনফেকশন যা এপস্টেইন-বার নামক ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এটি খুব ছোঁয়াচে। এর সবচেয়ে কমন উপসর্গ হচ্ছে শরীর ব্যথা।
লুপাস
শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বারা শরীরের টিস্যু আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে লুপাস বলে। এর ফলে দেহের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। এ রোগের একটি সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে শরীর ব্যথা।
ডিহাইড্রেশন
শরীরকে স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ছাড়া শরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া (যেমন- শ্বাসক্রিয়া, পরিপাকক্রিয়া ইত্যাদি) সম্পন্ন করতে পারে না। যথেষ্ট পরিমাণ পানির অভাবেও শরীর ব্যথা হতে পারে।
উদ্বেগ
উদ্বেগে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ে। এর ফলে শরীর সংক্রমণ বা ব্যাধির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে না। ফলে শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়।
রক্তস্বল্পতা
শরীরে লোহিত রক্তকণিকার অভাব হলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা হয়। অ্যানিমিয়া হলে দেহের টিস্যু পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। রক্তস্বল্পতা হলেও অনেক সময় শরীর ব্যথা হয়।
অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা এমন একটি অবস্থা যখন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় তখনই কিন্তু রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া দেখা যায় কেন হয় বা কি প্রকারের হয় সেটা অবশ্যই আমাদের জানা উচিত আমরা হয়তো খুব সহজেই বলে থাকি একজন রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা আয়রনের অভাব হয়েছে অ্যানিমিয়ার প্রকারভেদ গুলো যদি একটু আমরা কথা বলি সেটা হচ্ছে যে
আয়রনের ভাবে যেটা হয় লোহের ভাবে যেটা হয় সেটা একটা পাশাপাশি আরো অনেকগুলো অ্যানিমিয়া আছে মেগামা ব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া আছে ফলিক এসিডের পাশাপাশি বি টুয়েলভ ঘাটে থাকে তখন কিন্তু এই অ্যানিমেটর রক্ষিত হয় এছাড়া কিন্তু প্রোটিনের অভাবে নিমে হতে পারে কপারের অভাবে হতে পারে বা ভিটামিন সি এর অভাবে হরমোনের অভাবে অ্যানিমিয়া হয়। লৌহের কারণে বেশিরভাগ অ্যানিমিয়া হয়ে থাকে এর তিন কারন হচ্ছেঃ
খাবারের থেকে সঠিক পরিমাণ আয়রন টি না যায় সেক্ষেত্রে কিন্তু একটাও হচ্ছে, দ্বিতীয়টি হচ্ছে শ্বসন যদি সমস্যা থাকে অন্তর থেকে প্রপারলি আয়রন টি শ্বসন হচ্ছে না, ফলিক এসিডের অভাবে এই সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন ডি
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে রক্তে ক্যালসিয়ামের অভাব হয়ে থাকে। হাড়ের সুস্থতার জন্যও ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এর অভাবে ক্যালসিয়াম শোষিত হয় না যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও হাড়ে ব্যথা হয়।
বিভিন্ন রোগের কারণ ভিটামিন ডি এর অভাব ভিটামিন ডিএনএ নিয়ে বর্তমানে প্রচুর গবেষণা চলছে। এখন অনেকগুলো গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে অনেক রোগের কারণ ভিটামিন ডি এর অভাব। আমাদের দেশের 90% মানুষ জানে না ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে বিশেষ করে মেয়েরা এর কারণ বায়ু দূষণ শব্দ দূষণ সূর্য লখিন বাসা পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহন না করার কারনে, ভিটামিন-ডি পেতে হলে সকাল 10 টা থেকে 3 টার মধ্যে 30 মিনিট বাইরের রোদ পোহাতে হবে। ভিটামিন-ডি একটি স্টেরয়েড হরমোন যা সূর্যের আলোর মাধ্যমে শরীর তৈরি করে নেয়, যদি ভিটামিন ডি সূর্য আলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ না করতে পারেন সেক্ষেত্রে d3 সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে যাওয়ার সময় বা ইচ্ছে করে না সেক্ষেত্রে আমাদের ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে যেমনঃ দুধ, ডিমের কুসুম, হলুদ, জিরা, এলার্জি ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি পাবেন। ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ২০২০ সালে গবেষণা এসেছে সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে কাজ করে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রকম জটিলতা থেকে ভিটামিন ডি রক্ষা করে। মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণ সহায়তা করে দীর্ঘদিনের মাসিক ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ও ভিটামিন ডি সাহায্য করে। ৩০ বছরের পরে নিয়ে হাঁটুতে ব্যাথা হাতে ব্যাথা জয়েন্টে ব্যাথা ইত্যাদি এসব সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি গ্রহন করতে হবে।
ঘুমের অভাব
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি এর কারণে নির্দিষ্ট কয়েক ঘন্টা সবাইকে ঘুমাতে হয় ঘুমানোর ফলে শরীরে মেলে বিশ্রাম শুধু তাই নয় শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয় ঘুমের মাধ্যমে ঘুমের পর আপনার অজান্তে শরীর একের পর এক কাজ করতে থাকে এ সময় শরীরে নানা সমস্যা সমাধান করে এসময় ঘুমের সময় সচেতন মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয়। সারাদিন কর্মব্যস্ততার ফলে রাতে সঠিক পরিমাণ না ঘুমানোর কারণে তার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে একসময় শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগ। ঘুম কম হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম দরকার। ঘুম কম হলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
নোটঃ
সারা শরীরে ব্যথা হলে মনে করতে হবে তার কোনো না কোনো রোগ হচ্ছে। এটি বিভিন্ন রোগের একটি সাধারণ উপসর্গ। তাই একে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url