হেবা দলিল / হেবা দলিল করতে কি কি লাগে / হেবা দলিল খরচ কত / হেবা দলিল বাতিল করার নিয়ম - Heba dalile

হেবা দলিল কি

হেবা হচ্ছে কোন কিছুর বিনিময় না নিয়েই যে দানটি করা হয় সেটি হচ্ছে হেবা।

ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় তার যে সম্পত্তি সেটি সে তার হচ্ছে যে কাউকে সে তার সন্তান হোক বা অন্য যে কাউকে হোক সে কিন্তু দান করে দিতে পারে। সে তার সমুদয় সম্পত্তি একজন মুসলমান যদি হয়। তাহলে তিনি তার সমুদয় সম্পত্তি একজন মুসলমান যদি হয় সমাজের সম্পত্তি সকল সম্পত্তি দান করে দিতে পারে। এবং হিন্দুদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে হিন্দুদের ক্ষেত্রে যাদের ভরণপোষণ বাধ্যতামূলক তাদের ভরণ পোষণের জন্য যে খরচটি রেখে এক জন হিন্দু ব্যক্তি চাইলে তার সমস্ত সম্পত্তি দান করে দিতে পারে। 

হেবা বাদান হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে কিসের শর্ত শর্তগুলো হচ্ছে যিনি হেবা করবেন হেবা যে দাতা এই হে বাধনের একটি ঘোষণা করতে হবে সেটি মৌখিকভাবে হোক বা লিখে এবং যাকে তিনি হেবাটা দিচ্ছেন এই ঘোষণাটি তাকে গ্রহণ করতে হবে। এবং সেই সাথে ঘোষণা সাথে সাথে হেবা যিনি দাতা রয়েছেন তাকে হেবা গ্রহীতা কে তার সম্প্রতি যেটা থাকবে সেই সম্পত্তি দখল টিও বুঝিয়ে দিতে হবে। এই তিনটি জিনিস যখন একটি হেবাতে সম্পন্ন হবে। তখন সেই হেবাটি প্রকৃত ও বৈধ হেবা হিসেবে গ্রহণ হবে। কিন্তু এই তিনটি নিয়ম এর মধ্যে তিনটি যদি সঠিকভাবে সম্পূর্ণ না করা হয় তাহলে হেবা টি গ্রহণযোগ্য বা বৈধ হবে না।

দলিল 

আমরা অনেক সময় দেখে থাকি হেবা গ্রহণ করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু হেবার দকল হেবা দাতা বুঝিয়ে দেন না। হেবা দাতা যদি সম্পত্তি দখল বুঝিয়ে না দেন তাহলে তিনি যেকোনো সময়ে হেবা নিষিদ্ধ বা বাতিল করেত পারেন।

তবে দখল করার পরে এই হেবা টি বাতিল করার সুযোগ থাকবে না। এই ক্ষেত্রে কিছু বিষয় রয়েছে যেমন হেবা দাতা যিনি রয়েছেন হেবা দখল প্রধানের আগেই যদি বাতিল করতে চান তাহলে তাকে আদালতের মাধ্যমে বাতিল করেত হবে।

এবং এইক্ষেত্রে হেবা গ্রহীতা চাইলে সম্প্রতি দখল নেওয়ার পরে সেটি অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিতে পারবে সে যা ইচ্ছে তাই সম্প্রতি নিয়ে করতে পারবে।  হেবা গ্রহীতা সাম্প্রতিক দখল নেওয়ার পরে যদি হেবা গ্রহীতা মারাও যায় সে ক্ষেত্রেও হেবা বাতিল করা যাবে না। 


হেবা দলিল বাতিল করার নিয়ম

নতুন আইন অনুসারে হেবা ঘোষণা বা হেবা দলিল বাতিল করা অনেক সহজ হবে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন যেটা ফর্সা অনুমোদন চূড়ান্ত হয়েছে সামনে একটা পাস হতে যাচ্ছে এটার 6 নম্বর পয়েন্টে ক্লিয়ারলি বলা আছে যে ভুল বুঝিয়ে হেবা ঘোষণা বা দান করে নিলে সেই দলিল তো টিকবে না তার সাথে সাথে সে শাস্তির সম্মুখীন হবে কি শাস্তি। 

হেবা দলিল কি খারিজ করা যায়

কি শাস্তি ফাস্ট হচ্ছে তাকে তিন মাস থেকে 5 বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকা থেকে শুরু করে বঞ্চিত হয়েছে তারা বাতিল করার সুযোগ আছে তিনটা ধারায় মামলা করতে পারবেন এবং আপনি একটা জিনিস আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আমি চাইলেও কোন সময় যে আমি দিয়ে দিলাম আমি আমার স্ত্রীকে দিয়ে দিলাম স্ত্রীর কথা শুনছে না আবার হেবা বাতিল করবে এটা হবে না তারপর আবার আমি আমার ছেলেকে দিলাম ছেলে কথা শুনছে না গায়ে লাগাচ্ছে না এই জন্য হেবা বাতিল করবেন তার কোনো সুযোগ নেই আবার মেযে অন্য জায়গায় আপনার অমতে বিয়ে করেছে আপনি হেবা বাতিল করবেন তার কোনো সুযোগ নাই।  

হেবা দলিলের শর্ত

কোন কোন পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে আপনি হেবা ঘোষণা বাতিল করতে পারেনঃ 

দাতা জীবিত অবস্থায় দান কার্য যদি সম্পন্ন না হয়। মানে এক জন হেবা ঘোষণা কিন্তু তখন হস্তান্তর করে নাই মৃত্যুর পরে তা প্রকাশিত হয়েছে এবং যারা বঞ্চিত তারা আদালত আপিল করলে হেবা ঘোষণা বাতিল হয়ে যাবে।

তার পরে দান গ্রহনের আগেই দাতা মৃত্যুবরণ করলে হেবা ঘোষণা বাতিল হবে। সমঝি দান করার সময় উক্ত সম্পত্তিতে দখল থাকতে হবে। তার পরে হচ্ছে দান টি স্বেচ্ছায় হতে হবে। যদি দকনটি কোনরকম কোন রকম প্ররোচনা থাকে যেমন তাকে প্রেসার দেওয়া হয়েছে জোর করা হয়েছে তাহলে হবে না তাকে সুস্থ মস্তিষ্কে ভেবেচিনতে দিতে হবে। যদি এমন কোন মানুষ থাকে যার মস্তিষ্কে সমস্যা বা সে নাবালক তার কাছে থেকে লিখে নিলে হবে না।  হেবা ঘোষণাটি প্রকাশে হতে হবে এটা কোনভাবে গোপনে করা যাবে না হেবা ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গে হেবা ঘোষণার তিনটি বৈধ শর্ত আছে জেরিনা পালন করলে হেবা ঘোষণা বাতিল করা হবে।  তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চিনি হেবা ঘোষণা দিবেন সেই মুহূর্তে হেবাটি প্রকাশ করতে হবে। যে নিচে তাকে গ্রহণ করতে হবে এবং দখল নিতে হবে। 

তাছাড়া আপনি যদি সুনির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারা পুরো যো হেবা টি আছে তা বাতিল করতে পারেন। আর যদি আংশিক বাতিল করতে চান তাহলে ৪০ ধারায় করতে পারেন। আর যদি ভুল হয় তাহলে ৩৬ ধারা অনুযায়ী রত করতে পারেন।


হেবা দলিলের অসুবিধা

দলিল যার জমি তার এটি ৪ সেপ্টেম্বরে পাস হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে যেরকম কোন ভুমি সম্পর্কেত অপরাধ হলে শুধুমাত্র রেমিডি পাওয়া যেত কিন্তু যিনি অপরাধ করত তার কোনো শাস্তি হতো না এখন তার জেলা ও হতে পারে। অনেকে ভাবেন সব রকম হেবা দলিলই বাতিল হযে যাবে। 

বিষয়টা কিন্তু সেটা নয় প্রতারনা করে হেবা দলিল করা হলে সেই দলিল বাতিল হবে৷ দলিলটি পাওয়ার পরে যদি দখলদারি না নেওয়া হয় তাহলে পরে অসুবিধার মধ্যে পরতে হবে।


হেবা দলিল খরচ কত

হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা খরচ হয়ঃ 

১. রেজিস্ট্রেশন ফ্রি - ১০০ টাকা।

২. স্ট্যাম্পশুল্ক ফি - ১০০০ টাকা।

৩. E - ফি - ১০০ টাকা।

৪. G G ফি - ৩৬০ টাকা। 

৫. N - ফি - ৩৪০ টাকা। 

৬. হলফনামা - ৩০০ টাকা

৭. C F (court fee) - ১০ টাকা।

হেবা দলিল বাতিলের মামলা 

দলের বাতিলের মামলার জন্য আপনার দলিলের পক্ষ হতে হবে না অর্থাৎ আপনাকে দাতা বা গ্রহতা হতে হবে না। আপনাকে শুধু এটাই আদত প্রমাণ করতে হবে যেই দলটি অবৈধ বা বাতিল যোগ্য। অনিষ্পন্ন অবস্থায় কোন দলিল ছেড়ে দিলে ওই দলিলের কারণে কারো ক্ষতি হবে। এবং সে দলটিও হোয়াইট বা বাতিলযোগ্য সেক্ষেত্রে দলটি বাতিলের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে। এবং আদালত বিবেচনা করে যদি দেখেন এই দলিলটি অবৈধ তাহলে দালিল টা বাতিল ঘোষণা করবেন।

হেবা দলিল করতে কি কি লাগে

১. সিএস (১৮৮৮-১৯৪০)/ এসএ (১৯৫৬-১৯৯৫)/ আরএস (১৯৬৬-১৯৯৫)/ বিএস খতিয়ান(১৯৯৫-চলমান)

অর্থ্যাৎ এলাকাভেদে সর্বশেষ জরিপের মাধ্যমে সুষ্ট খতিয়ান।

অথবা নামজারী খতিয়ান 

২. দলিল এর মুল কপি 

অথবা সার্টিফাইট কপি।

৩. হার সন পযন্ত ভুমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের রশিদ (দাখিলা)।

৪. জাতীয় পরিচয়পএ/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ পাসপোর্ট এর কপি। 

৫. উত্তরাধিকার সম্পত্তির হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদ। 

৬. দাতা- গ্রহীতার সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।

৭. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বায়া দলিল সমূহ ( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। 

৮. TIN (টি. আই. এন) সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url